রুক্ষ এবরো-খেবরো পথে হাঁটতে গিয়ে আমি এখন প্রায়শঃই হোঁচট খাই। পথ চলার ক্লান্তিতে আমার দুর্বল দেহ নুয়ে আসে। আগের মত আর চলতে পারিনা।
অথচঃ এমন একটা সময় ছিল চলার পথে একটা পাহাড় ঠেকলেও আমার গতি রুদ্ধ হতো না। ঘাস ফড়িং এর পাখায় ভর দিয়ে অবলিলায় পার হয়েছি কত দীর্ঘ পথ। শন পাতার সেতু গড়ে একটা গোটা সমুদ্র পাড়ি দিয়েছি।
কিন্তু সেই আমিই এখন বাজ পাখির ঠোঁটের নৌকোতে বসেও এক টুকরো আকাশ পেরুতে পারিনা। নরম গোলাপের গালিচায় পা রেখে হাঁটতেও আমার ভীষণ ভয় হয়।
দুঃসময়ের দুর্ভাবনাগুলো আমায় অক্টোপাসের মত জাপটে ধরে। প্রতিটি পদক্ষেপেই জমে উঠে বাধা পায়ের নীচে জন্ম নেয় স্থবিরতার শেকড় আমার চলার শক্তি হয় রহিত।
আমি বোধহয় ক্রমশঃ মিইয়ে যাচ্ছি।
নিজেকে ইদানীং বড্ড ক্লান্ত বিধ্বস্ত মনে হয়। হয়তো আগত কোন দুঃসহ আঘাতেই আমি পা হড়কে পড়ে যাবো। ক্ষয়ে যাবে আমার ক্ষুদ্র জীবন।
তবুও সময়কে ধন্যবাদ রইলো। এক অহংকারী জীবনের ক্রান্তিলগ্নে কেবলি দুঃসময়ের ভীড়ে আমাকে থামিয়ে দেবার জন্য।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহমাদ মুকুল
যা বর্তমান, তা ই সুন্দর। অতীতকে সুন্দর মোহময় ভেবে ভেবে বর্তমানকে অস্বীকার করলে ভবিষ্যত সৃষ্টি হবে কীভাবে? কবিতাটি দারুন। খুব ভাল লেগেছে। কবিতাটির অন্তনির্হিত হতাশার সূরটিতেই আপত্তি।
শাওন খান
তবুও সময়কে ধন্যবাদ রইলো।
এক অহংকারী জীবনের ক্রান্তিলগ্নে
কেবলি দুঃসময়ের ভীড়ে
আমাকে থামিয়ে দেবার জন্য।--------------সমসাময়িক উচ্চারণ। চুপ থাকার নামই নীরবতা নয়। নীরবতাও অনেক সময় প্রতিবাদের অস্ত্র হতে পারে। আধুনিক সমাজে জীবিত মানুষের চেয়ে মৃত মানুষের মূল্যবেশি। কবিতায় জীবনের সব ক্ষোভ ও না বলা কথামালা ফুটে উঠেছে।
হাসিনা আক্তার কাজল
নিজেকে ইদানীং বড্ড ক্লান্ত বিধ্বস্ত মনে হয়।
হয়তো আগত কোন দুঃসহ আঘাতেই
আমি পা হড়কে পড়ে যাবো।
ক্ষয়ে যাবে আমার ক্ষুদ্র জীবন।......খুব সুন্দর।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“আগষ্ট ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ আগষ্ট, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।